আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।,
সিসমোলজিক্যাল তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় ১৩টা ৫৯ মিনিট) উত্তর সেবুর বোগো শহরের কাছাকাছি অগভীর স্থলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, প্রথমে এর মাত্রা ৭ দশমিক ০ রেকর্ড হলেও পরে তা কমিয়ে ধরা হয়।
সেবু প্রাদেশিক গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো জানান, বোগো প্রাদেশিক হাসপাতালে শুধু ওই শহর থেকেই ২৫ জনের মরদেহ নেওয়া হয়েছে। আহতদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক রোগীকে হাসপাতালের বাইরেও চিকিৎসা দিতে হয়েছে।
ভূমিকম্পে প্রদেশের অন্য অংশে আরও ৬ জন নিহত হয়েছেন। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল জানায়, মধ্য ফিলিপাইনের দ্বীপগুলোতে অন্তত ১৪৭ জন আহত হয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২টি ভবন।,
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বান্তায়ান দ্বীপের একটি পুরোনো ক্যাথলিক চার্চ দুলতে দুলতে ধসে পড়ে। স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, সেতুতে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীরা প্রাণ বাঁচাতে রেলিং আঁকড়ে ধরে আছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণের সেবু শহরও, যা বোগো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। সেখানকার এক অনলাইন ব্যবসায়ী জেফোর্ড মারাঙ্গা জানান, তিনি একটি শপিংমলে ধসে পড়া ধাতব ছাদ থেকে বাঁচতে টেবিলের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
প্রাদেশিক সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবায় স্বেচ্ছাসেবীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। উদ্ধার কর্মকর্তা উইলসন রামোস বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে মানুষ আটকা থাকতে পারেন।
ফিলিপাইন ভূতত্ত্ব সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের পর অন্তত ৩৭৯টি আফটারশক রেকর্ড হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এ ভূমিকম্পে সুনামির ঝুঁকি নেই।
প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার-এ অবস্থান করায় নিয়মিত ভূমিকম্পে কাঁপে ফিলিপাইন। ২০১৩ সালেও সেবু ও বোহল দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।,
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ইয়াসির আরাফাত মিলন
স্বরস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ - প্রতিদিনের আলোচিত ক্ন্ঠ