
আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ এবারের HSC পরীক্ষার -২০২ কলেজে কোন ছাত্র /ছাত্রী পাস করেনি। রেজাল্ট দেখে আমি হতাশ! একদম 'অভাক' হয়ে গেলাম। আমার মনে হলো শুধু পুলিশ বা আমলাদের মাঝে 'দুর্নীতির পোকা' বিদ্যমান তা ঠিক নয়। জন্মদেশে শিক্ষকরাও ব্যাপকহারে দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে আছেন, শুধু সুযোগের অভাবে ওরা বারবার বলে বুক চেতিয়ে বলে ওঠে 'আমরা সৎ, আমরা সৎ', আমি মনে করি ওরা আসলে লুকিয়ে থাকা 'মাল', শুধু নিজের মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় শিক্ষকরা পাত্রপক্ষকে কুপোকাত করতে এই থিওরি দারুণভাবে এস্তেমাল করে থাকে। পাত্রীও বলে 'আমার বাবা একজন সৎ পেশার লোক', কিন্তু বাবা যে কোচিং ধান্দার সাথে জড়িত সেটা মেয়েটি বাসরঘরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বোদাই মার্কা পাত্রের কাছে লুকিয়ে রাখে। (উল্লেখ্যঃ আমার বেশিভাগ বন্ধু শিক্ষা পেশার সাথে জড়িত, কেউ ইউনিভার্সিটি, কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কেউ বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।আমার কিছু বন্ধু অতঃপর স্কুলের চাকুরী ইস্তফা দিয়ে তারা নিজের প্রাইভেট কোচিং 'হালদার একাডেমী' খুলেছিলেন,ঢাকা ও চট্টগ্রামে। মনে রেখেছেন হয়তো। তবে সেই আমল আর এই আমল??!!
উল্লেখ্যঃ জন্মদেশে স্কুল কলেজের শিক্ষকরা ব্যাঙের ছাতার মত যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িয়ে পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারের উচিত যে শিক্ষক একটি স্কুলে বা কলেজে শিক্ষকতা করে তিনি প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে কোন কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত হতে পারবেন না। আমি জানি স্কুলের শিক্ষকরা কিভাবে ক্লাস থেকে ছাত্রদেরকে প্রলুব্ধ করে কোচিং সেন্টারে পাঠায়। যেমন জন্মদেশের ৭৭% ডাক্তার অভাগা রোগীকে সুনির্দিষ্ঠ কোন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন টেস্ট করার জন্যে পাঠায়। বিশ্বের কোন উন্নত ও DU মুক্ত দেশে কোচিং সেন্টার নেই, ওরা ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করে। আমি জানি - জন্মদেশে বেশিরভাগ শিক্ষকই এখন আর ক্লাসে ঠিকভাবে পড়ান না; তারা কোচিং বাণিজ্যেই ব্যস্ত। তাদের কাছে কোচিং করলে ক্লাসের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়, এমন কিছু নগদ-রিপোর্টও আমাদের হাতে এসেছে। তবে এখনও ৩০% টিচার ভালো আছেন; তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা সবসময় থাকবে। এটা একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার দাবীঃ যে টিচার 'চিটার' এর মত কোচিং বাণিজ্যে জড়িত তাকে আজই সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেয় করা হউক।উল্লেখ আমি চুয়াডাঙ্গা জেলার কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, আমার সময়ের কয়েকজন শিক্ষক এর কথা বলি,যেমন প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ শেখ,সহকারী প্রধান শিক্ষক হোসেন আলী, সহকারী প্রধান শিক্ষক আরজ আলী, সহকারী শিক্ষক, আব্দুল মালেক, মিরাজ উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, আগষ্টিন হালসানা,হাবিবুর রহমান, আবদুল মজিদ-(১),আব্দুর রাজ্জাক, শ্রী আশোতোস সেনগুপ্ত, আজাহার আলী,দাউদ আলী,আমজাদ আলী,মোশাররফ হোসেন, আবুল হাসেন,আশরাফ আলী, আব্দুল মজিদ-(২)আরো নাম না জানা অনেক শিক্ষক শ্রেনী কক্ষে যেই ভাবে পাঠাদান করাতেন এবং শ্রেনী কক্ষে পড়া বুঝে নিতেন এবং পড়াতেন আমার মনে হয় না বর্তমান শিক্ষকরা সেটা করেন না,উল্লেখ প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ শেখ বিদ্যালয়ের সামনে স্যারের বাসা ছিলো, বাসা থেকে বাহিরে বাহির হয়ে স্কুলের গেটে আসলে স্কুলের ছাত্ররা সাইলেন্ট হয়ে যেতো যেটা অস্বীকার করতে পারবে না বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম ও নান্টু দাদা।কিন্তু বর্তমান বিদ্যালয়টি লক্ষ করলে দেখা যায় ছাত্র /ছাত্রীরা চরুই পাখির মতো কিচিরমিচির করছে পরিবেশ বলতে কিছুই নেই।কেরু শ্রমিক ও কর্মচারীদের দাবি কেরু এ্যান্ড কোম্পানি সুযোগ্য ব্যবস্হাপনা পরিচালক মোঃ রাব্বিক হাসান এফসিএমএ,মহাব্যবস্হা প্রশাসন সহ প্রধান শিক্ষক পরিবেশ সুন্দর করার জন্য যথাযথ ব্যবস্হা গ্রুহন করবেন বলে দর্শনার আমজনতা মনে করেন।
চলবেঃ পরবর্তীতে দর্শনা সরকারি কলেজ সহ কিছু বিদ্যালের বিষয় তুলে ধরা হবে।
বিঃদ্রঃ রিপোর্ট পড়তে প্রতিদিনের আলোচিত কণ্ঠ চোখ রাখুন
কলমেঃ
ইয়াসির আরাফাত মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক
জাতীয় প্রতিদিনের আলোচিত কণ্ঠ
রামপুরা, বনশ্রী
ঢাকা -১২০৫
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ইয়াসির আরাফাত মিলন
স্বরস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ - প্রতিদিনের আলোচিত ক্ন্ঠ