মোঃ নাঈম উদ্দীন স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা-সুবলপুর সড়কে গতকাল বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এক কিশোর গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।

কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়া থেকে মাঠের ভিতরে রাইসা ভাটার সামনে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল এবং ব্যাটারিচালিত ভ্যানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

গতকাল রাত আনুমানিক ৮টা নাগাদ, যখন এলাকাটি ক্রমশ নিস্তব্ধ হচ্ছিল, ঠিক তখনই রঘুনাথপুর গ্রামের সন্নিকটে কার্পাসডাঙ্গা-সুবলপুর সড়কের উপর এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

আহত মোটরসাইকেল চালক- মো. তামিম ইকবাল (১৫)। পিতা: মো. সোহেল হোসেন। ঠিকানা: রঘুনাথপুর গ্রাম। আহত ভ্যানচালক- মো. তাহাজুল ইসলাম। পিতা: আব্দুল জলিল। ঠিকানা: কুড়ুলগাছি গ্রামের পশ্চিম পাড়া।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কে পর্যাপ্ত আলোর অভাব থাকায় এবং সম্ভবত দ্রুত গতির কারণে এই সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের অভিঘাতে ১৫ বছর বয়সী কিশোর তামিম ইকবাল তার মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাত পান।

সংঘর্ষের পরপরই স্থানীয়দের সহায়তায় তামিম ইকবালকে দ্রুত উদ্ধার করা হয় এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেক জুনায়েত সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান:

"সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কিশোর তামিমকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার আঘাত গুরুতর। বর্তমানে তাকে নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আঘাতের গভীরতা বিবেচনা করে তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।"

অপরদিকে, ভ্যানচালক মো. তাহাজুল ইসলামও আঘাতপ্রাপ্ত হন। তিনি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন।

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর এবং কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকরাম হোসেন যৌথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনার খবর পাওয়ামাত্র কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ উভয় পক্ষের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। উভয় পক্ষই যেহেতু এটিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং কারও বিরুদ্ধেই কোনো প্রকার অভিযোগ দায়ের করতে রাজি হয়নি, তাই এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মামলা দায়ের করা হয়নি।

এলাকাবাসীর দাবি, কার্পাসডাঙ্গা-সুবলপুর সড়কটি বর্তমানে অত্যন্ত ব্যস্ততম হলেও, সড়কের কিছু অংশে এখনও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা ও আলোর অভাব রয়েছে। তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সড়ক নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।