বি.এম. সাদ্দাম হোসেন ; স্টাফ রিপোর্টারঃ শিক্ষকদের পেশাগত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক ধর্মীয় বা সামাজিক কাজে স্বেচ্ছাশ্রমে যুক্ত থাকতে পারবেন, তবে তা অবশ্যই নির্দিষ্ট ও সীমিত পরিসরের মধ্যে হতে হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যেন শিক্ষাদান, পাঠ পরিকল্পনা, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক অন্যান্য দায়িত্ব পালনে কোনোভাবেই ব্যাঘাত না ঘটায়—সে বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষকতা একটি পূর্ণকালীন ও দায়িত্বশীল পেশা। শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, নিয়মিত ক্লাস গ্রহণ, পাঠ্যক্রম শেষ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখা শিক্ষকদের প্রধান কর্তব্য। এসব দায়িত্ব উপেক্ষা করে অতিরিক্ত সামাজিক বা ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে তা শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কর্তৃপক্ষের মতে, সমাজ ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, তবে সেটি ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। কর্মঘণ্টার বাইরে বা ছুটির দিনে এসব কাজে যুক্ত হওয়াই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পন্থা। কোনো অবস্থাতেই ক্লাস ফাঁকি, দেরিতে উপস্থিতি বা দায়িত্বে অবহেলার সুযোগ নেই।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন শিক্ষকদের পেশাগত দায়বদ্ধতা আরও সুদৃঢ় হবে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত ও মানসম্মত পাঠদানের সুফল পাবে। একই সঙ্গে শিক্ষকরা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডেও ভারসাম্য বজায় রেখে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ইয়াসির আরাফাত মিলন
স্বরস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ - প্রতিদিনের আলোচিত ক্ন্ঠ