শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

ডিকেআইবির নির্বাচন স্থগিত করে পরবর্তী তফসিল ঘোষণার দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি : শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণে যাঁরা নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন, সেই কৃষিবিদরাই নানা কারণে দ্বিধাবিভক্ত, জড়িয়ে পড়েছেন রেষারেষিতে। প্রকাশ্যেই চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। তাঁদের দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে আদালতের আঙিনায়। চলছে মামলা। এমন পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ কৃষিবিদরা আছেন অস্বস্তিতে। কৃষির নানা দপ্তরে চলছে অস্থিরতা। খেই হারাচ্ছে কার্যক্রম। নেতাদের রেষারেষির কারণে কৃষিবিদরা তাঁদের মেধা ঠিকমতো মেলে ধরতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রে পূরণ হচ্ছে না তাঁদের দাবি-দাওয়া।

দুই পক্ষের বিভাজন নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কৃষিবিদরা।

ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন, সংগঠনটির গঠনতন্ত্রে মতে কর্মরত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ছাড়া কেউ সদস্য পদ লাভ করতে পারে না। কিন্তু ভিভিযোগ রয়েছে সংগঠনের নাম অনুসারে একজন কৃষি ডিপ্লোমা সনদধারীর সদস্য লাভের সুযোগ থাকার কথা কিন্তু সে সুযোগ রাখা হয়নি, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে চাকুরী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ডিপ্লোমা কৃষিবিদকে কেন সদস্য হ‌ওয়ার সুযোগ দিচ্ছে?

এই বিষয় ডিপ্লোমা কৃষিবিদ
দিপক চন্দ্ৰ রায় বলেন: পেশাজীবি ডিপ্লোম কৃষিবিদদের পেশার মান তথা দেশেৱ উন্নয়েন জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ(ডিকেআইবি), যা সম্পূৰ্নভাবে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। অথচ কৰ্মরত ডিপ্লোমা কৃষিবিদগণেৱ DKIB সংগঠন নিয়ে দুৰ্বৃত্তায়ন ও কৰ্মৱত ডিপ্লোমা কৃষিবিদগণের বিৰুদ্ধে ষড়যন্ত্ৰ মূলক ও উদ্দেশ্য প্ৰণোদিত ভাবে, সকল ডিপ্লোমা কৃষিবিদদেৱ ধোঁকা দিয়ে,ধুৰ্ত প্ৰকৃতিৱ ,নেতা নামধাৱী অবসরপ্রাপ্ত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ তথা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী, ব্যাক্তিগত স্বার্থ চৱিতাৰ্থ কৱাৱ জন্য, জোৱ পূৰ্বক আহ্বায়ক ডিকেআইবি।কমিটি গঠনেৱ নামে রীতিমতো নিজেদের রাজনৈতিক কার্যালয় বানিয়ে ফেলেছে। অবসরপ্রাপ্ত একটি মহল যা সম্পূৰ্ন ভাবে ডিকেআইবি সংগঠনেৱ গঠনতন্ত্ৰ পৱিপন্হি।

সরকারী চাকরিতে কর্মরত ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের গতিশীল সংগঠন ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন। গত ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এই সংগঠনের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো টা। ৫ আগস্টের পর একটি কুচক্র গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জোরপূর্বক সংগঠনটি দখলে নিয়েছে এবং ডিকেআইবি নির্বাচন-২০২৪ নামক প্ৰতারণা ও দুৰ্বৃত্তাযন কৱে, সাৱা দেশে অবসরপ্রাপ্ত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ নামধাৱী তথা দুৰ্বৃত্তাযনের আখড়াতে পৱিণত কৱেছে।গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চাকরিরত কৃষিবিদরা সংগঠনের নেতৃত্বে থাকার কথা। অথচ কতিপয় অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হঠাৎই বৈষম্য দূর করার নামে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। ডিকেআইবি গণতন্ত্র অনুসাৱে,১)কেন্দ্ৰ,২)অঞল, ৩)জেলা/মহানগৱ ৪)উপজেলা/ইউনিট এই চাৱ স্তৱেৱ ডিকেআইবি কমিটি ৱয়েছে।ধূৰ্ত প্ৰকৃতিৱ অবসরপ্রাপ্ত জিয়াউল হায়দাৱ পলাশ গং, কৰ্মৱত ডিপ্লোমা কৃষিবিদগণেৱ বিৰুদ্ধে ষড়যন্ত্ৰ মূলক ভাবে, দুৱভীসন্ধীমূলক ও ঘৃণিত প্ৰয়াসেৱ অংশ হিসেবে, ব্যাক্তিগত স্বার্থ চৱিতাৰ্থ কৱাৱ জন্য, ডিকেআইবি প্ৰহসন মূলক তথাকথিত নির্বাচন তথা তারই শত অপকৰ্মেৱ দোসর,অবসরপ্রাপ্ত মোঃখাইৰুল হোসেনকে, নিজেদেৱ প্ৰধান নির্বাচন কৰ্মকৰ্তা পদে বসিয়ে,একক প্যানেল দেয়াৱ নামে , সাৱা দেশে নির্বাচনেৱ নামে , নির্বাচন তফসিল এ নিৰ্ধাৰিত নির্বাচন গ্ৰহণেৱ বহু দিন পূৰ্বে নিজস্ব দালালী কমিটি তথা প্ৰহসন মূলক পকেট কমিটি গঠন কৱে।তাই নির্বাচন তফসিল ঘোষিত হলেও, যাৱ ১)কেন্দ্ৰ,২)অঞল, ৩)জেলা/মহানগৱ পৰ্যায়ে নির্বাচন হওয়াৱ কথা ৱযেছে আগামী ০২\১১\২০২৪। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত নেতা নামধাৱী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী , জিয়াউল হায়দাৱ পলাশ গং DAB নামক একক প্যানেলে ইতিমধ্যেই পকেট কমিটি গঠন কৱেছে, যা সম্পূৰ্ন অবৈধ ও গঠনতন্ত্ৰ পৱিপন্হির|

তিনি আরো বলেন: অভিযোগ রয়েছে নির্বাচনের নামে পদ বাণিজ্য ও নিজেদের ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট পাকাপোক্ত করছে। আন্দোলন-সংগ্রামকে বেগবানের অজুহাতে কয়েক দিনের ব্যবধানে হাতিয়ে নিয়েছে ৫৮ লাখ টাকা।

স্বৈৱাচাৱদেৱ পতনের পর দখলবাজরা পালিয়ে গেলেও নতুন আরো একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। যারা কৰ্মৱত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনটিকে নিজের ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট বানিয়েছেন। দখলে নিয়েছেন বিভিন্ন কক্ষ।

এই বিষয় মহামান্য হাইকোৰ্টে একটি ৱীট মামলা দায়ের করা হয়েছে মামলার নং১২৯৪৩/২০২৪ । হাইকোৰ্টে বিচাৱাধীন কোন মামলা নিষ্পত্তি না হলে,নির্বাচন কৱাৱ চেষ্টা কৱা হলে আইনেৱ লঙ্ঘন ও মহামান্য কোৰ্টকে অবমাননা হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা



লাইক করুন