জাহিদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
চুয়াডাঙ্গায় একটি তেলবাহী ট্রাকচাপায় ইজিবাইকের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শিশুসহ আহত হয়েছেন ইজিবাইকের আরও চারজন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যার আগে জেলা সদরের জাফরপুরে বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের কাছাকাছি এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জানান, ‘দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়, আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়ে ভর্তি আছেন, এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুর রহমান। তিনি জানান, ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন। এছাড়া কয়েকজন আহত হয়েছেন। সবার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলেসহ দুজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের নওদাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা ভবনের সামনে পাখিভ্যান থেকে পড়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন—বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের ছেলে রিয়াদ (১৩) এবং ফরিদপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের জামাতা ও চেয়ারম্যানের মুরগির খামারের কর্মচারী পলাশ (৩৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পলাশ ও রিয়াদ মোটরসাইকেলে কুষ্টিয়া থেকে কেনাকাটা শেষে আলমডাঙ্গার দিকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নওদাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে দ্রুতগতির একটি পিকআপভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই রিয়াদের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত পলাশকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, একই রাতে আলমডাঙ্গায় ব্যাটারিচালিত একটি পাখিভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে হান্নান হোসেন (৪৭) নামে আরও একজন নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হান্নান আলমডাঙ্গা মাইক্রোস্ট্যান্ড থেকে মাদকসেবনের পর একটি ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যানে করে উপজেলা পরিষদের গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে আলমডাঙ্গা থানা ভবনের সামনে ভ্যানটি একটি গতিরোধকের (স্পিড ব্রেকার) ওপর উঠলে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান এবং গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ওসি মাসুদুর রহমান জানান, নিহত ব্যক্তি একজন পরিচিত মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ভ্যান থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।