অনলাইন ডেস্ক: চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কায় অস্ত্র মজুদ নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১২ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন দ্বিগুণ থেকে চারগুণ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে পেন্টাগন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অস্ত্র দ্রুত উৎপাদনের লক্ষ্যে পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের মধ্যে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। গত জুনে পেন্টাগনে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে যুদ্ধমন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে আন্দুরিল ইন্ডাস্ট্রিজসহ নতুন ও পুরনো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীরা যোগ দেন। পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং যুদ্ধমন্ত্রী হেগসেথ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে অস্ত্র উৎপাদন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
তবে এই পরিকল্পনা নিয়ে সংশয়ও রয়েছে। কারণ, একটি ক্ষেপণাস্ত্র সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হতে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। নতুন সরবরাহকারীদের অস্ত্র ব্যবহারের উপযোগিতা ও নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থের সংকটও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ট্রাম্প প্রশাসনের বিগ বিউটিফুল বিল–এর আওতায় পাঁচ বছরের জন্য অতিরিক্ত ২৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ থাকলেও বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ কমিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সময় শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ফলে ভাণ্ডার আরও হ্রাস পায়। ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিত্রদের সুরক্ষার বিষয়টি নতুন করে ভাবাচ্ছে পেন্টাগনকে।
চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য যে ১২ ধরনের অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— প্যাট্রিয়ট ইন্টারসেপ্টর, লং রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৬, প্রিসিশন স্ট্রাইক মিসাইল এবং জয়েন্ট এয়ার-সারফেস স্ট্যান্ডঅফ মিসাইল। এর মধ্যে প্যাট্রিয়টকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ অগ্রাধিকার।