বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশে ফিরবে পাচারের কিছু অর্থ : অর্থ উপদেষ্টা

আলোচিত কণ্ঠ ডেস্ক

দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কী পরিমাণ অর্থ ফেরত আসবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

পাচারের অর্থ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, টাকা যারা পাচার করে তারা সব জানে কীভাবে করতে হবে। এটা আনতে গেলে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। অনেক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়তো কিছু আসতে পারে। বাকিটার জন্য আমরা ক্ষেত্র প্রস্তুত করছি।

তিনি বলেন, এই ফরমালিটি কোনও সরকার অ্যাভয়েড করতে পারবে না। মনে করেন, আমি বললাম টাকা দিয়ে দাও সেন্ট্রাল ব্যাংকে, সুইস ব্যাংকে বলে দিলাম টাকা দিয়ে দাও, দেবে না তো। ওটা আপনার লিগাল ওয়েতে যেতে হবে, সেটা তো অলরেডি আমরা করছি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন ১১-১২টা কেস আমরা একেবারে হাই-প্রায়োরিটি দিয়ে দেখছি। আর বাকিগুলোর মধ্যে যেগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি, তাদেরও ধরা হচ্ছে।

নতুন সরকার আপনাদের ধারাবাহিকতা রাখবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন বলেন, রাখতে তারা বাধ্য। কারণ যে প্রসেসগুলো আমরা চালু করছি, ওইটা চালু না থাকলে তো টাকা ফেরত আনতে পারবে না। ওরা যদি বসে থাকে ফেরত আসবে না। আর যদি আনতে হয় এই প্রসেসগুলো মেইনটেনেন্স করতে হবে। এটা তো ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। এটা ছাড়া কীভাবে আনবে।

কী পরিমাণ টাকা ফেরত আনা সম্ভব হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেটা আমি বলতে পারবো না। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে প্রশ্ন করেন।

এই সময়ও কিছু পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আচ্ছা কিছু দিন পরে দেখি বাংলাদেশ ব্যাংকে এটা একটা কম্প্রেসিভ ইসে দেবে। একটা রিভিউ আমরা করছি। দেখি কতটুকু আনা যায়। আপনারা জানেন অলরেডি অ্যাসেট ফ্রিজ করা হয়েছে। কোথায় ওদের টাকা আছে, কোথায় অ্যাকাউন্ট আছে, কোন কোন দেশের ওদের পাসপোর্ট আছে সেটার তথ্যও আছে। এখন বাকি একটু কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।’

আপনারা উপদেষ্টাদের এলাকায় বেশি বরাদ্দ দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ আছে? একজন সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, না না। প্রজেক্টগুলো তো বহু আগের করা।

বিবিএস একটা প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে বলেছে যে দেশের ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবারই পুষ্টিহীনতায় বা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কিছুটা নিউট্রিশনের ঘাটতি আছে, বিশেষ করে শিশু আর মায়েদের মধ্যে।

তিনি বলেন, এটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি যথাসম্ভব। আপনারা দেখবেন আমাদের ভিজিএফ এবং স্পেশাল ট্রাকে করে দিচ্ছিল। বোধহয় কাল-পরশু থেকে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাবে, তাদের জন্য তো আমরা ২০ কেজি করে দিচ্ছি। অতএব, আমরা চেষ্টা করছি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের খাদ্য যেটা হয়, সেটা সুষম না। চালের ওপর বেশি ডিপেন্ড করি। কিন্তু অন্যরা যেগুলো খায়, সেগুলো এক্সেস। এগুলোর কেনার ক্ষমতা একটু কম। এজন্য আমাদের খাদ্যের ঘাটতি কমানো, কিছু আমিষ দরকার। আমিষ বলতে আমরা মনে করি ডিমটা সবচেয়ে বেশি দরকার। সেটাও কিন্তু অনেকে কিনতে পারবেন।

সূত্র : বাসস



লাইক করুন