বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

সিরাজগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে  নানা অনিয়মের অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী মদদপুষ্ট সিরাজগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. ফারুক আহমদ এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের একাধিক শিক্ষক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রকল্প পরিচালক,ইসলামি ফাউন্ডেশন, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে জানাযায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের একাধিক শিক্ষক

দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সাথে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্র পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় সিরাজগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপপরিচালক নিজের মনগড়া ক্ষমতা প্রয়োগ করে সদর উপজেলায় প্রায় ২৪টি শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি কেন্দ্র থাকবেনা এমন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তিনি শিক্ষক ও আলেম ওলামাদের সঙ্গে অসদাচরণও করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একবার কালেক্টোরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ জামে মসজিদে ওলামা-মাশায়েখদের এক বৈঠকে নাস্তা বিতরণকে কেন্দ্র করে তিনি আলেমদের চোর বলে অপমান করেছিলেন। এমনকি তিনি বিভিন্ন সভা সমাবেশে নিজের অধীনস্থদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন এবং কেউ ভিন্নমত পোষণ করলে বদলির হুমকি দেন।

ভুক্তভোগি শিক্ষকরা জানান,একই জেলায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে চাকরিরত থাকে তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এখানে অবস্থান করছেন। অপরদিকে তার শ্বশুরবাড়ি অফিসের কাছে হওয়ায় তিনি প্রভাব দেখান। এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী শাসনের অবসান ঘটলেও আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট এই কর্মকর্তার এখনও কোন আওয়ামী পরিবর্তন ঘটেনি। তিনি সিরাজগঞ্জ ইসলামি ফাউন্ডেশনকে আওয়ামী লীগের পুর্বসুরী হিসেবে অবাধে আওয়ামী কর্তৃত্ব বিস্তার করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

এছাড়া শিক্ষকদের কাছ থেকে দেশি মুরগি, ডিম, দুধ ও যমুনা নদীর মাছ সংগ্রহ করার জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগও করেছেন তারা। সময়মতো এসব ব্যবস্থা করতে না পারলে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।

অভিযোগকারীরা প্রকল্প পরিচালক বরাবর লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন, উপপরিচালকের এমন আচরণে আলেম ওলামাদের মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগি শিক্ষকরা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক ফারুক আহমদ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগটি সত্য নয় বলে দাবি করে সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।



লাইক করুন