সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানার কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মো. নাইম হোসেন (২০) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ সিরাজগঞ্জ ও র্যাব-১১ কুমিল্লার যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন।
র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আহসান হাবিবের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারকৃত মো. নাইম হোসেন, পিতা মো. রহমত আলী, গ্রামের নাম চর কামারখন্দ, থানা- কামারখন্দ, জেলা- সিরাজগঞ্জ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ অক্টোবর ২০২৫ সকালেই কর্ণসুতী দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. খাদিজা আক্তার (১৪) মাদ্রাসায় যাওয়ার পর বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে পরিবারের কাছে জানায়, খাদিজা সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে অচেতন অবস্থায় ভর্তি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খাদিজা জানান, মাদ্রাসা থেকে কলম কিনতে যাওয়ার সময় আসামিরা তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায় এবং কামারখন্দ উপজেলার ডেরা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর প্রধান আসামী নাইম হোসেন রক্তক্ষরণে অজ্ঞান অবস্থায় ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যায়।
ভিকটিমের মা ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী-০৩, ধারা ৭/৩০/৯(১))। মামলার পর থেকে আসামী পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানায়, ২২ অক্টোবর ভোর ৪:৩০ মিনিটে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেজর মো. আহসান হাবিব বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে কামারখন্দ থানায় হস্তান্তর করা হবে।”