বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত বিচ্ছিন্ন করার হুমকি মেনে নেওয়া হবে না: আসাম মুখ্যমন্ত্রী বাকশালে মানুষের ভোটের ও গণতন্ত্রের অধিকার টুঁটি চেপে ধরা হলো: তারেক রহমান “১৬ই ডিসেম্বর” জয়পুরহাটে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি পাগলপ্রেম রইলো প্রিয়জনের প্রতি—শ্যামল সাবরিয়া  সবচেয়ে বেশি রাজাকার আ.লীগে, দ্বিতীয়তে বিএনপি’: জামায়াত নেতা এনসিপি নেতা হাসনাতের হুমকিতে ‍অসমের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ: “উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে ভারত চুপ থাকবে না” ক্ষমতার চেয়ারে বসার পর দেশটা যেন হঠাৎ করেই বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল চুয়াডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত শ্মশানে রামায়নের গান: বাংলার লোকসংস্কৃতির এক জীবন্ত ঐতিহ্য

মাগুরা-১ আসনে এনসিপির চমক: মাঠে মো. হাসিবুর রহমান : মনোনয়ন জমা দিতেই আসনজুড়ে নতুন আলোচনার ঝড়

বি.এম. সাদ্দাম হোসেন ; স্টাফ রিপোর্টারঃ

মাগুরা-১ আসনের রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মোড় আনতে পারে ন্যাশনাল কাউন্টার পার্টি (এনসিপি)। শনিবার দলটির পক্ষ থেকে মো. হাসিবুর রহমান মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এতে দীর্ঘদিনের ‘একচেটিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা’-র ধারা ভেঙে ভোটযুদ্ধে নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাসিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাগুরা অঞ্চলে সামাজিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। সম্প্রতি এনসিপির পক্ষ থেকে তাঁকে মনোনয়নের জন্য আহ্বান জানানো হলে তিনি দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তা জমা দেন। তার এই পদক্ষেপে এলাকায় নতুন রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়েছে।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। সে হিসেবে আসনটি আওয়ামী লীগের ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত। তবে এবারের নির্বাচনে এনসিপির অংশগ্রহণে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে নতুন আগ্রহ তৈরি হয়েছে—বিশেষ করে তরুণ ও প্রথমবারের ভোটারদের মাঝে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি এনসিপি মাঠে সংগঠিত প্রচারণা চালাতে পারে, তাহলে ভোটে নতুন গতিশীলতা আসবে। যদিও বড় দলগুলোর প্রভাব মাগুরা-১ আসনে এখনও দৃঢ়, তবুও বিকল্প নেতৃত্বের আবির্ভাব ভোটারদের ভাবনায় পরিবর্তন আনতে পারে।

স্থানীয় এক রাজনৈতিক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “হাসিবুর রহমানের নাম শোনা মাত্রই এলাকায় আলোড়ন পড়েছে। তিনি তরুণ সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য মুখ। যদি তিনি সক্রিয়ভাবে মাঠে নামেন, তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও হিসাব মেলাতে হবে।”

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য বড় দলও নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে তৎপর হয়েছে। জেলা পর্যায়ের নেতারা বলছেন, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দলীয় প্রার্থীই জনগণের আস্থা পাবে।

মাগুরা-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি। এর মধ্যে তরুণ ভোটারের হার উল্লেখযোগ্য। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এবারের নির্বাচনে এই শ্রেণির ভোটই বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

সব মিলিয়ে মাগুরা-১ আসনে এবার লড়াই শুধু দলীয় নয়, বরং নতুন নেতৃত্ব বনাম পুরনো প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিযোগিতা হয়ে উঠছে। এনসিপির এই পদক্ষেপে নির্বাচনী মাঠ আরও প্রাণবন্ত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



লাইক করুন