বি.এম. সাদ্দাম হোসেন ; স্টাফ রিপোর্টারঃ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার একটি গ্রাম থেকেই একসঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় এলাকায় আনন্দ ও গর্বের অনুভূতি বিরাজ করছে।
শ্রীপুর উপজেলার ৭ নম্বর সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাতুন্দী গ্রামের এই তিন শিক্ষার্থী হলেন আরাফাত মাহমুদ, নুরসাত জাহান তনিমা ও নাফিজ ইকবাল নিশান। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলে তাদের এ সাফল্যের বিষয়টি জানা যায়। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ই ডিসেম্বর) মাগুরা শিক্ষা অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করলাম।
ফলাফল অনুযায়ী আরাফাত মাহমুদ মুগদা মেডিকেল কলেজে, নুরসাত জাহান তনিমা খুলনা মেডিকেল কলেজে এবং নাফিজ ইকবাল নিশান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
জানা গেছে, তিন শিক্ষার্থীই হাট দ্বারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তারা ২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তী সময়ে ধারাবাহিক অধ্যবসায় ও নিয়মিত প্রস্তুতির মাধ্যমে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেন।
আরাফাত মাহমুদ স্থানীয় দ্বারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি সোনাতুন্দী গ্রামের ব্যবসায়ী আবু মাহমুদ মিয়া ও স্কুল শিক্ষিকা শাহানারা হোসেনের ছেলে।
নুরসাত জাহান তনিমা একই কলেজ থেকে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ব্যবসায়ী একেএম হাবিবুর রহমান ও গৃহিণী শার্মিন আক্তারের মেয়ে।
অন্যদিকে নাফিজ ইকবাল নিশান বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। তার বাবা মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস শ্রীপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে কর্মরত এবং মা নাজমা খাতুন একজন স্কুল শিক্ষিকা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নাফিজ ইকবাল নিশান বলেন, এই সাফল্যের পেছনে বাবা-মা, শিক্ষক ও শুভানুধ্যায়ীদের অবদান রয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে একজন দায়িত্বশীল চিকিৎসক হিসেবে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
হাট দ্বারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী ইমাম হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের তিন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর এমন সাফল্য প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের। তাদের এ অর্জন ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা. পান্না খাতুন বলেন, একই গ্রাম থেকে একসঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় পুরো ইউনিয়ন গর্বিত। এ সাফল্য প্রমাণ করে, সঠিক দিকনির্দেশনা ও অধ্যবসায় থাকলে গ্রামাঞ্চল থেকেও সর্বোচ্চ অর্জন সম্ভব।
তিন শিক্ষার্থীর সাফল্যে সোনাতুন্দী গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর আশা, এই অর্জন আগামী দিনে আরও শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করে তুলবে।