বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আলমডাঙ্গায় ৩ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের বিজয়মেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত একই গ্রামের তিন শিক্ষার্থী পেলেন সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকে আবেদনের আহ্বান ইসির ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট করাই পুলিশের মাথাব্যথা রাজধানীর বংশালে গোয়েন্দা সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল উদ্ধার নওগাঁ হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা মাগুরা-২ আসনে বিএনপিতে অস্বস্তি: দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হয়ে মাঠে সাবেক এমপি কাজী কামাল নওগাঁয় সাংবাদিকদের সাথে ডাসকোর ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা শিক্ষকদের পেশাগত দায়িত্বে অগ্রাধিকার: স্বেচ্ছাশ্রমে যুক্ত থাকার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ কপিলমুনিতে বাঁকা চোখে বাঁক সরলীকরণ: ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী আন্দোলনের ডাক 

চুয়াডাঙ্গায় মাদকবিরোধী গণসচেতনতামূলক সভা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত

মোঃ নাঈম উদ্দীন স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গাকে মাদকমুক্ত করার প্রত্যয়ে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক বিশাল গণসচেতনতামূলক সভা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) মিলনায়তনে এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

তিনি তাঁর বক্তব্যে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, “মাদক কেবল একজন ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে ধ্বংস করে না, বরং এটি একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয় এবং পুরো সমাজকাঠামোকে পঙ্গু করে ফেলে। তরুণ প্রজন্ম আমাদের ভবিষ্যৎ, আর এই ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বজায় রাখতে হবে।”

তিনি আরও যোগ করেন যে, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। তিনি মাদকের সরবরাহ বন্ধে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কথা জানান এবং অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি আরও নজর রাখার আহ্বান জানান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ মুছাব্বেরুজ্জামান।

বক্তাগণ তাঁদের আলোচনায় নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন:

পারিবারিক সচেতনতা: সন্তানদের বন্ধু-বান্ধব ও চলাফেরার বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকা।

সামাজিক প্রতিরোধ: পাড়া-মহল্লায় মাদক কেনাবেচা বন্ধে সামাজিক কমিটি গঠন করা।

যুব সমাজের ভূমিকা: কারিগরি ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে তরুণদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা, যাতে তারা মাদকের পথে পা না বাড়ায়।

সেমিনারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক ও প্রশিক্ষক এবং বিপুল সংখ্যক প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার শপথ গ্রহণ করেন এবং এই বার্তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

অনুষ্ঠান শেষে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রশিক্ষণার্থীরা মাদক নির্মূলে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং অতিথিবৃন্দ তার প্রতিকার সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।



লাইক করুন