মোঃ নাঈম উদ্দীন স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গার রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের আংশিক) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু-র পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই মনোনয়নপত্র উত্তোলন করা হয়। এর মাধ্যমে জেলায় নির্বাচনী আনুষ্ঠানিকতার যাত্রা শুরু হলো বলে মনে করছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমানের কাছ থেকে মনোনয়নপত্রটি গ্রহণ করেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের একঝাঁক শীর্ষ নেতা।
মাহমুদ হাসান খান বাবুর পক্ষে এ সময় উপস্থিত ছিলেন:
খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপি।
মনিরুজ্জামান মনির, সভাপতি, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি।
রফিকুল হাসান তনু, সাধারণ সম্পাদক, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি।
খাজা আবুল হাসনাত, সভাপতি, দর্শনা থানা বিএনপি।
এছাড়াও সদর ও জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অঙ্গ-সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর তারা চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মানুষের অধিকার আদায়ে মাহমুদ হাসান খান বাবুর নেতৃত্ব ও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, চুয়াডাঙ্গার দুটি সংসদীয় আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উত্তোলনের তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান:
“নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্য প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।”
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনটি দামুড়হুদা উপজেলা, জীবননগর উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আংশিক (নেহালপুর, বেগমপুর, গড়াইটুপি ও তিতুদহ ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত। এবারের নির্বাচনে এই আসনের ভোটার সংখ্যা ও কেন্দ্রের পরিসংখ্যান নিম্নরূপ:
মোট ভোটার ৪,৮৬,১৯৯ জন
পুরুষ ভোটার ২,৪৩,০৩১ জন
নারী ভোটার ২,৪৩,১৬৩ জন
ভোটকেন্দ্র ১৭০
মাহমুদ হাসান খান বাবু চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি বিজিএমইএ-র গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে রয়েছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তার বলিষ্ঠ অবস্থান এবং তৃণমূলের সাথে নিবিড় যোগাযোগ তাকে এই আসনে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছে।
নেতাকর্মীদের দাবি, দীর্ঘ সময় পর নির্বাচনের এই আমেজ সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করেছে।