শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি, শাহবাগে জাতীয় ছাত্রশক্তির বিক্ষোভ ও কুশপুত্তলিকা দাহ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপির পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ: নির্বাচনী আমেজ ও নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস জীবননগরে অতিথি পাখি নিধন বন্ধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতামূলক সভা ও মানববন্ধন চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন ও জেলা প্রশাসকের একাধিক দপ্তর পরিদর্শন আলমডাঙ্গায় ৩ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের বিজয়মেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত একই গ্রামের তিন শিক্ষার্থী পেলেন সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকে আবেদনের আহ্বান ইসির ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট করাই পুলিশের মাথাব্যথা রাজধানীর বংশালে গোয়েন্দা সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল উদ্ধার নওগাঁ হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

মাগুরা-২ আসনে বিএনপিতে অস্বস্তি: দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হয়ে মাঠে সাবেক এমপি কাজী কামাল

বি.এম. সাদ্দাম হোসেন ; স্টাফ রিপোর্টারঃ মাগুরা-২ আসনে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মাগুরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, যিনি এলাকায় ‘ইকনো কামাল’ নামে পরিচিত।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাজী কামাল অতীতে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন এবং সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করার পর কারামুক্ত হন। বিএনপির সুপারিশ ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি মুক্তি পান বলে দলীয় একাধিক সূত্র দাবি করেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এটিকে দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী এবং রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিএনপির একাংশের মতে, দল থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দলের প্রতি “চরম বিশ্বাসঘাতকতা”র শামিল। তাদের ভাষ্য, দলের দুঃসময়ে পাশে থেকে সুবিধা নেওয়ার পর এখন দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা রাজনৈতিক নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বোদ্ধা মহলের অভিমত, যদি কোনো নেতা প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী অবস্থান নেন, তাহলে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অনেকেই মনে করছেন, দল থেকে বহিষ্কারসহ কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে।

তবে কাজী কামালের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিস্তারিত বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তার সমর্থকদের দাবি, তিনি এলাকাবাসীর চাপে ও ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান থেকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সব মিলিয়ে মাগুরা-২ আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ এই দ্বন্দ্ব নির্বাচনী রাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং এর প্রভাব নির্বাচনী মাঠে কতটা পড়ে—সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন।



লাইক করুন