বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাবনা পেশ

আলোচিত কণ্ঠ ডেস্ক
জাতিসংঘ সদর দফতরে গতকাল মঙ্গলবার শুরু হওয়া ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের দ্রুত রাখাইনে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের জন্ম মিয়ানমারে, তাই এর সমাধানও সেখানেই নিহিত। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোই একমাত্র কার্যকর সমাধান। এ ইস্যুকে মিয়ানমারের বৃহত্তর সংস্কারের সঙ্গে জিম্মি করে রাখা যাবে না’।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে (স্থানীয় সময়) জাতিসংঘ সদর দফতরে রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, গণহত্যা শুরুর আট বছর পরও রোহিঙ্গাদের দুর্দশা অব্যাহত রয়েছে। এ সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ অনুপস্থিত, আন্তর্জাতিক অর্থায়নও মারাত্মক ঘাটতির মুখে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে, এর সমাধানও সেখানেই নিহিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যেন তারা অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করে এবং দ্রুত রাখাইনে তাদের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা শুরু করে। এটিই একমাত্র সমাধান। সংকটের সমাধানকে মিয়ানমারের বৃহত্তর সংস্কারের সঙ্গে জিম্মি করে রাখা উচিত নয়।
প্রধান উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা ভয়াবহভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে শরণার্থীদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষার ব্যয় বহন অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই শান্তিপূর্ণ বিকল্প হিসেবে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফেরত পাঠানো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।
তিনি জানান, রোহিঙ্গারা নিজেরাও বারবার দেশে ফেরার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সংঘাত এড়াতে যারা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নেয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
বক্তব্যে ড. ইউনূস স্পষ্ট করেন যে বাংলাদেশ এ সংকটের শিকার। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ফলে আর্থিক, সামাজিক ও পরিবেশগত চাপ তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাখাইনের দিক থেকে মাদক প্রবাহসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা- বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলছে।
তিনি আরো বলেন, দারিদ্র্য ও বেকারত্বের মতো উন্নয়নজনিত চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থান দেয়া সম্ভব নয়।
সাত দফা প্রস্তাব: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তিনি সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন-
১. রাখাইনে স্থিতিশীলতা এনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের রোডম্যাপ প্রণয়ন। ২. মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টি করে সহিংসতা বন্ধ করা এবং পুনর্বাসন শুরু। ৩. রাখাইনের স্থিতিশীলতায় আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা ও আন্তর্জাতিক বেসামরিক উপস্থিতি গড়ে তোলা। ৪. রোহিঙ্গাদের সমাজ ও প্রশাসনে টেকসই অন্তর্ভুক্তির জন্য আস্থা গড়ার পদক্ষেপ নেয়া। ৫. দাতাদের অবদান বাড়িয়ে যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা (ঔড়রহঃ জবংঢ়ড়হংব চষধহ) সম্পূর্ণ অর্থায়ন করা। ৬. জবাবদিহিতা ও পুনর্বাসনমূলক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। ৭. মাদক অর্থনীতি ভেঙে দেয়া এবং সীমান্তপারের অপরাধ দমন।
বিশ্বকে একসঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্যের শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ব আর রোহিঙ্গাদের অপেক্ষায় রাখতে পারে না। আজ আমরা প্রতিজ্ঞা করি এই সংকটের স্থায়ী সমাধানে একসঙ্গে কাজ করব। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।’
গতকাল মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) এই সম্মেলনটি শুরু হয়। সম্মেলনে অন্তত ৭৫টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানও ছিলেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধরে রাখা, রাজনৈতিক সমর্থন জোরদার করা, মানবাধিকারসহ সংকটের মূল কারণ মোকাবিলা এবং নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা।
এদিকে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আগে গত সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এবং অর্স্ট্রেলিয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী জুলি বিশপ, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেলের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান। সেখানে রোহিঙ্গা সংকট, শিক্ষা, খাদ্য, ফান্ড নিয়ে আলোচনা করেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস।
বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী কয়েক মাস দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের (জাতিসংঘ) সহযোগিতা প্রয়োজন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতার দায় নিরূপণ, সংরক্ষণবাদী শুল্ক নীতির কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য উদ্বেগ এবং আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার উদ্যোগে তার পূর্ণ সমর্থন ও সংহতির অঙ্গীকার করেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার পদক্ষেপ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতের অঙ্গীকার মহাসচিবকে অবহিত করেন। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তাদের দোসররা চুরি করা অর্থ ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না। কিছু আন্তর্জাতিক মহলও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলেও জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান ড. ইউনূস। এর জবাবে মহাসচিব গুতেরেস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচির প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘের ধারাবাহিক ভূমিকার প্রতিশ্রুতি দেন। রোহিঙ্গা সম্মেলন আয়োজন করায় জাতিসংঘর মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকটকে বৈশ্বিক আলোচনায় অগ্রাধিকারে এবং আশ্রয় শিবিরে মানবিক সহায়তার জন্য জরুরি তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
একই দিনে নিউ ইয়র্কের এক হোটেলে রবার্ট এফ. কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি কেরি কেনেডির নেতৃত্বে বিভিন্ন মানবাধিক সংস্থার প্রধানরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ড. ইউনূস আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের আরো ঘন ঘন বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রত্যেকবার আপনারা এলে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় আসে। শেষ পর্যন্ত আপনারাই জনগণের কণ্ঠস্বর।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, আমরা চাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হোক অবাধ ও শান্তিপূর্ণ এমন নির্বাচন, যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি। বছরের পর বছর ভোটার তালিকায় অনেকের নাম থাকলেও তারা ভোট দিতে পারেনি। এবার আমরা বিশেষভাবে নারীদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে চাই এবং তাদের অংশগ্রহণ উদযাপন করতে চাই। ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে মানুষকে জানাতে আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালাব। আমাদের লক্ষ্য দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা। তবে কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জানান, কিছু শক্তি রয়েছে যারা চায় না নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সেজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালা হচ্ছে, যার সুবিধাভোগী রয়েছে দেশের ভিতরে ও বাইরে। তারা সুসংগঠিত- এটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয়। অর্থ পাচার রোধে চুরি হওয়া অর্থ প্রতিরোধে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের আইনি প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। আমি আশা করি মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই বিষয়ে আওয়াজ তুলবে, যেন কোনো ব্যাংক এমন অর্থ লুকিয়ে রাখতে না পারে। এটি সত্যিকার অর্থেই জনগণের অর্থ।
এদিকে এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রস্তুতির নিরপেক্ষ মূল্যায়নে জাতিসংঘের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা। গত সোমবার নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই আহ্বান জানান। বাংলাদেশের অনুরোধে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়নে সহায়তার ঘোষণা দেন আন্ডার সেক্রেটারি। তিনি আগামী এক মাসের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান। এ সময় প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, উত্তরণের পর সঠিক রূপান্তর পরিকল্পনা না হলে এ খাত ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
একই দিনে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তনই একমাত্র কার্যকর সমাধান। দুই নেতার মধ্যে সংকটের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো, যেমন- মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশে কক্সবাজারে ১০ লাখের বেশি শরণার্থীর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, গত ১৮ মাসে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, যা ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করেছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য এই যুগান্তকারী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শুধু রোহিঙ্গাদের নিয়েই প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই সম্মেলন সংকট সমাধানের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা দেবে। এই আয়োজন আন্তর্জাতিক সমর্থনকে উৎসাহিত করবে, বিশেষ করে বাংলাদেশে থাকা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করবে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেলের সঙ্গে বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস ক্যাম্পের শিক্ষা কার্যক্রমে তহবিল সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষা হারিয়ে ক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে, যা একসময় অপ্রত্যাশিতভাবে বিস্ফোরিত হতে পারে।
এসব বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারা এবং এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



লাইক করুন