মোঃ জাবেদ হোসেনঃ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে অগ্নিদগ্ধের শিকার শাহনাজ বেগম (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তের ঘরে লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দিনগত রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ জনতা এই সময়ে অভিযুক্ত নাসিমা বেগমের ২টি ঘরে লুটপাট চালায় এবং আধাপাকা একটি বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান শাহনাজ। এলাকায় এ খবর পৌঁছালে ক্ষুব্ধ জনতা এই আগুন দেয়ার কাণ্ড ঘটায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জে অবস্থানরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার কামরুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে।
মৃত শাহানাজ বেগমের স্বামী আমিনুল খান জানান, সুদের ব্যবসায়ী নাছিমা বেগমের সাথে তাদের গত কয়েক মাস ধরেই সুদের টাকা পরিশোধ ও স্ট্যাম্প দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিপুর্বে আমার স্ত্রীকে কয়েক দফা মেরেছে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে জোরপূর্বক আমার স্ত্রীকে পিছন দিক থেকে হাত-পা বেধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুণ ধরিয়ে দেয়।
পরে আমিসহ লোকজন তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানেই বুধবার (১ অক্টোবর ) তার মৃত্যু হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম এই বিষয়ে বলেন, অভিযুক্ত নাছিমা বেগমের ঘরে আগুণ দেয়ার ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।