বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি, শাহবাগে জাতীয় ছাত্রশক্তির বিক্ষোভ ও কুশপুত্তলিকা দাহ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপির পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ: নির্বাচনী আমেজ ও নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস জীবননগরে অতিথি পাখি নিধন বন্ধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতামূলক সভা ও মানববন্ধন চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন ও জেলা প্রশাসকের একাধিক দপ্তর পরিদর্শন আলমডাঙ্গায় ৩ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের বিজয়মেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত একই গ্রামের তিন শিক্ষার্থী পেলেন সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকে আবেদনের আহ্বান ইসির ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট করাই পুলিশের মাথাব্যথা রাজধানীর বংশালে গোয়েন্দা সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল উদ্ধার নওগাঁ হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

২০ বছর আগে কেন জামায়াতে যোগ দিয়েছিলেন, জানালেন কৃষ্ণ নন্দী

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা-১ (দাকোপ–বটিয়াঘাটা) আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে এবার জামায়াতে ইসলামী প্রথমবারের মতো হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা কৃষ্ণ নন্দীকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি। দুই দশক আগেই জামায়াতের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। ন্যায়–সততা ও আদর্শিক রাজনীতির প্রতি বিশ্বাস থেকেই জামায়াতকে তিনি বেছে নেন বলে জানান।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) খুলনায় ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান তার মনোনয়ন ঘোষণা করেন। আজ বুধবার বিকালে স্থানীয় নেতাদের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

ডুমুরিয়ার চুকনগর গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ নন্দী ২০০৫ সালে জামায়াতে ইসলামে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু শাখার সভাপতি এবং স্থানীয় সনাতন কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।,

২০ বছর আগে জামায়াতে যোগ দেওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কঠোরভাবে আদর্শভিত্তিক জামায়াত হলো ন্যায়-সততার দল। এখানে দুর্নীতি নেই, চাঁদাবাজি নেই, মাদক নেই। শান্তি-সমৃদ্ধি আনার দল বলে আমি জামায়াতকে বেছে নিয়েছি। ২০০৫ সাল থেকে এটি করছি, হঠাৎ নয়।’

কৃষ্ণ নন্দী দাবি করেন, দলের দুঃসময়েও তিনি পাশে ছিলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকারের আমলে তিনি কোণঠাসা ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এলাকায় জামায়াতের রাজনীতি করায় তাকে নানা চাপের মুখে পড়তে হয়েছে।

মনোনয়ন পাওয়ার পর কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘আমাকে কেন্দ্রে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে জামায়াত আমিরসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আমি তাদের নির্দেশনা পেয়েছি, এখন এলাকায় প্রচারণা শুরু করব।’

এর আগে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মাওলানা আবু ইউসুফ। তাকে নিয়ে প্রশ্ন করলে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘বুধবার জামায়াত আমির আমাদের দুজনকে বুকে বুক মিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন আমার হয়ে নিজেই প্রচারণায় নেমেছেন। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’



লাইক করুন