আলোচিত কণ্ঠ ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের উদ্দেশে বলেছেন, বিশ্বকে পাল্টাতে হলে প্রয়োজন সৃজনশীল চিন্তা, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং সামাজিক ব্যবসার শক্তিকে কাজে লাগানো। তিনি বলেন, ‘আমি তিন শূন্যের এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখছি—শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ (যা দারিদ্র্য দূর করবে) এবং শূন্য বেকারত্ব।’
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত “সোশ্যাল বিজনেস, ইয়ুথ অ্যান্ড টেকনোলজি” শীর্ষক এক উচ্চপর্যায়ের সাইডলাইন বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস ব্যাখ্যা করেন, “আমি তিন শূন্যের এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখছি—শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ (যা দারিদ্র্য দূর করবে) এবং শূন্য বেকারত্ব (যা তরুণদের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে সম্ভব হবে)।”
এছাড়া তিনি শূন্য বর্জ্য (জিরো ওয়েস্ট) ধারণাটিকেও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এটি জাতিসংঘ মহাসচিবের ঘোষিত “জিরো ওয়েস্ট ইনিশিয়েটিভ”-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ড. ইউনূস বলেন, “এটি কোনো কল্পনা নয়, বরং বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে। এজন্যই আমরা তরুণদের উৎসাহিত করছি সর্বত্র ‘থ্রি-জিরো ক্লাব’ গড়ে তুলতে—যেখানে প্রত্যেকে টেকসই জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি দেবে, বর্জ্য কমাবে এবং সামাজিক উদ্যোক্তা হয়ে উঠবে।”
তার মতে, যত বেশি মানুষ এই উদ্যোগে যুক্ত হবে, তত দ্রুত থ্রি-জিরো পরিবার, থ্রি-জিরো গ্রাম, থ্রি-জিরো শহর গড়ে উঠবে এবং শেষ পর্যন্ত একটি থ্রি-জিরো বিশ্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই আন্দোলন ছোট ছোট পদক্ষেপ দিয়ে শুরু হয়, কিন্তু ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা বিশ্বকে পাল্টে দিতে সক্ষম। সামাজিক ব্যবসার শক্তি, তরুণদের উদ্যম এবং প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব।’